ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির দেহ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘শববাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।’
লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।
ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ৫২ জন যাত্রী এবং এক চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে যায়। নৌকাটি থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, আটজন পাকিস্তানি, পাঁচজন সিরীয় ও চারজন মিসরীয়।
প্রাণ হারানো ৯ জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও একজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।