আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। দলটি আবার ক্ষমতায় গেলে শুধু শ্রমিক নয়, পুরো বাংলাদেশকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দেবে।’
বুধবার পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিতে নেতায় নেতায় ঝগড়া হয়। তারা একে অপরকে সরকারের এজেন্ট বলে। ফখরুল সম্পর্কেও নানা কথা শোনা যায়, ভেতরের কথা। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চাই না। ঘরে এত শত্রু, বিএনপি ধ্বংসের জন্য বাইরের কোনো শত্রুর প্রয়োজন হবে না। আজকে বিএনপি যে অবস্থায় আছে, নিজেরাই নিজেদের ভাঙন ও পতনের জন্য দায়ী হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সব মানুষই যদি ঐক্যবদ্ধ হবে, তাহলে বিএনপি কেন নির্বাচনে এলো না? আজকে বেলা শেষ, বিএনপিরও বেলা শেষ।’
শাসক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আজকে ধাপে ধাপে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা সর্বনিম্ন হয়েছে। আর বিএনপি আমলে আদমজী জুটমিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির হাতে রক্তের দাগ। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের রক্তের দাগ। বাংলার শ্রমিক ও শ্রমিকদের রক্তের দাগ। এরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেবে রক্তস্রোতে।’
সমাবেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা বলে দাবি করা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘আরব বসন্ত এখন আমেরিকায়। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। ক্যাম্পাসগুলো উত্তাল হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরকে লাঠিপেটা করে আর বলে- ইটস এ পার্ট অফ ডেমোক্রেসি।
‘ইসরায়েল ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিল। আজকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্যালেস্টাইনের মুসলমানদের হিটলারের কায়দায় একে একে হত্যা করছে। নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। মনে হয় হিটলারের চেয়ে জঘন্য এই নেতা নেতানিয়াহু। মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ ওয়াশিংটনের হাতে নেই, নেতানিয়াহুই সবকিছু।’
জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খসরুসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।