বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ১৫ সাংবাদিককে সাবেক এমপি জাফরের হুমকি, জিডি

  • প্রতিনিধি, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)   
  • ১ মে, ২০২৪ ১৯:৪০

জিডিতে বলা হয়, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহকে মারধরের ঘটনা পুলিশকে জানাতে ১৪ সাংবাদিককে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী। পথে বেশ ক’জন সহযোগীসহ জাফর আলম হাজির হয়ে তাদেরকে শায়েস্তা করা ও বিভিন্ন মামালার আসামি করার হুংকার দেন।

সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ানোয় এবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় কর্মরত পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর ক্ষেপেছেন সাবেক এমপি জাফর আলম। চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহর ওপর হামলা চালানোর পর এবার প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ ১৫ জন সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় থানা মসজিদের সামনে হুমকির শিকার হওয়ার পর মধ্যরাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী।

জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহকে মারধরের ঘটনা পুলিশকে অবহিত করতে ১৪ জন সহকর্মীকে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন তিনি। থানা সেন্টার মসজিদের সামনে পৌঁছলে আকস্মিক প্রাইভেট গাড়ি ও বাইক নিয়ে বেশ ক’জন সহযোগীসহ সাবেক এমপি জাফর উপস্থিত হয়ে বাদীসহ সাংবাদিকদের নানাভাবে শায়েস্তা করতে ও বিভিন্ন মামালার আসামি করার হুংকার দেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সহযোগীদের একজন সাংবাদিকদের পায়ের নলা কেটে পঙ্গু করার হুমকি দেন। অপর কয়েকজন ‘চকরিয়ার যেখানেই সাংবাদিক দেখব সেখানেই পেটানো হবে’ বলে চিৎকার করে হুমকি দেন।

চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাহউল হক বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা সংবাদকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হুমকির পরপরই সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার আশঙ্কা ছিলো।

‘ঘটনা শুনে থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ও পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরীসহ একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বড় ধরনের হামলা থেকে রক্ষা পান সাংবাদিকরা।’

চকরিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টায় সহকর্মী মোহাম্মদ উল্লাহকে মারধরের পর আবারও সাংবাদিকদের ওপর হুমকি ও হামলা হতে পারে তা কল্পনাও করিনি। অথচ সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটিয়েছেন সাবেক এমপি জাফর ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সাংবাদিকদের ওপর আরও প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে।’

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর হুমকি বা হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টার দিকে সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহকে হত্যাচেষ্টা, পিটিয়ে জখম এবং মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওই ঘটনায় সহকর্মীর পাশে দাঁড়ানোতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ ১৫ জন সাংবাদিককে হুমকি দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর