হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে এক লাখ করে টাকা জরিমানা এবং অপরজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া (২৫), নূরপুর গ্রামের শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জাহিদ মিয়া (২৮)। এ ছাড়া কারাদণ্ড প্রদান করা হয় মরমা গ্রামের লিমনকে।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা পরিকল্পনা করে তানভীরকে হত্যা করে তার মরদেহ পুঁতে রেখেছিল। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া তানভীর হোসেন (১৪)। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন আসে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদের আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল। ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরের পাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।
পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাদার মধ্যে চাপা দেন বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।