বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবক আটক

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:১৬

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, ‘দুজনের মধ্যে পূর্বপরিচয় ছিল। সোমবার রাতে ঘর ফাঁকা পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভেতরে ঢুকে প্রথমে সে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে কোনো কারণে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।’

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিটন আহমদকে মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ।

আটক লিটন আহমদ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বল্লবপুর গ্রামের খলিল আহমেদের ছেলে। আর নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম তমা আক্তার। তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার পাণ্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে। তমা দোয়ারাবাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিল না পান্ডারগাঁও গ্রামে। ফরিদ আহমদের স্ত্রীও তখন বাড়িতে ছিলেন না। ফরিদ আহমদ ও তার ছোট ছেলে বাজারে ছিলেন। এই সুযোগে লিটন আহমেদ ঘরে ঢুকে তমাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

রাত সাড়ে ৮টায় তমার ছোট ভাই বাড়িতে এসে ভেতর থেকে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি শুরু করে। এক পর্যায়ে টিনের বেড়ার ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভেতরে তাকিয়ে বোনের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা করেন তমার বাবা ফরিদ আহমদ।

তমার চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হোসেন আহমদ দাবি করেন, তার ভাতিজিকে ধর্ষণ শেষে খুন করেছে লিটন আহমদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, তমার নাক-মুখে রক্ত ছিল। সার্বিক চিত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় যে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে লিটনকে দুই কিলোমিটার দূরের দশনলি মোকাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজন কুমার দাস বলেন, ‘লিটন স্বীকার করেছে যে সে তমাকে খুন করেছে। তার দাবি, তমার সঙ্গে তার প্রেম ছিল। পরিবার তার কাছে তমাকে বিয়ে দেয়নি। সে অন্যত্র বিয়ে করেছে। তার দুই মাসের শিশুসন্তান আছে।

‘লিটন আরও দাবি করেছে- তমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সোমবার রাতে তমা তাকে জুতা দিয়ে বাড়ি দেয়ায় উত্তেজিত হয়ে সে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।’

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, ‘দুজনের মধ্যে পূর্বপরিচয় ছিল। সোমবার ঘটনার রাতে ঘর ফাঁকা পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরের ভেতর ঢুকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে কোনো কারণে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মরদেহ দেখে সন্দেহ হলে পরিবারের সহযোগিতায় আমরা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর