বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২০ নারী ও শিশু

  • প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৫৪

ফেরত আসা এসব নারী-শিশু বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেফ হোমের হেফাজতে ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ভারতে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ২০ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

ফেরত আসাদের মধ্যে ছয়জন নারী ও ১৪টি শিশু রয়েছেন। তারা হলেন- অনন্য রায়, কামনা বিশ্বাস, উর্মি আক্তার, নাদিরা শেখ, বৃষ্টি, আবৃতি শীল, রাবেয়া আক্তার, হোসনা আক্তার, জান্নাত শেখ, পূজা রায়, আছিয়া খানম, নাহিদ হাসান, তৃষা, ওলিদ খান, কথা মণ্ডল, ফারজানা আক্তার, প্রান্তী বিশ্বাস, তমারানি, জোগুনা বিবি ও রাকিব হোসেন।

এরা খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, পিরোজপুর, কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, বাগেরহাট ও চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী-শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

ফেরত আসা এসব নারী-শিশু বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেফ হোমের হেফাজতে ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রাপোল নো-ম্যান্স ল্যান্ডে স্থানীয় এসি ল্যান্ড, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে এসব নারী-শিশুকে হস্তান্তর করেন।

এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসাদের পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নারী-শিশুকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদেরকে তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসব মানবাধিকার সংগঠন তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

এ বিভাগের আরো খবর