নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দল থেকে পরিস্কার বার্তা রয়েছে। তবুও দলীয় লোকজন ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর কেউ কেউ নাকি সে নির্দেশনা মানছে না। কেমন করে তারা একটি দলের সভাপতির নির্দেশ অমান্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।’
সোমবার দুপুর ১টার দিকে চার জেলার সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনি আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় নির্বাচন এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। ভোটাররা প্রভাবিত না হলে কোনো প্রভাবই কাজে লাগবে না। তবে ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে।’
প্রার্থীদের ব্যাপারে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রার্থীর মধ্যে কোনো হাই ভোল্টেজ কিংবা লো ভোল্টেজ নেই। ভোটের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলেই তা নির্মূল করা হবে। কোনো ভোল্টেজ দিয়ে কাজ হবে না। জনগণকে ভালোবাসতে হবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে, তবেই ভোট পাওয়া যাবে। ভোল্টেজ মেশিনে লাগান।’
সাংবাদিকরা বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসি হাবিব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজীম-উল আহসান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা ও পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিবসহ চার জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।