কক্সবাজারে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা ফল্লানপাড়া গ্রামের ছায়েরা খাতুন ও তার মেয়ে মাহমুদা বেগম, বাহারচরা গ্রামের আবু আহমদ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের খদিজা বেগম নামের এক নারী।
স্থানীয়রা জানান, বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিয়ে বাঁশখালীতে ফিরছিলেন প্রায় ২০ জন রোগী ও তাদের স্বজনরা। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুট গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে।’
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে এক জন মারা যান।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ বলেন, ‘বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। শুনেছি পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় কবলিত হন। আমাদের (চক্ষু হাসপাতালের) একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরে এলে সবিস্তারে জানা যাবে।’