বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুবি উপাচার্যসহ ২০ জনের নামে হামলার লিখিত অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:২৭

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, ‘রোববার মধ্যরাতে শিক্ষক সমিতি এসে উপাচার্যসহ ২০ জনের নামে অভিযোগ করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনসহ ২০ জনের নামে হামলার অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় রোববার রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ‘রোববার দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আহুত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থানরত শিক্ষকদের শারীরিকভাবে হামলা করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বহিরাগত সন্ত্রাসী আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই- এলাহি, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদি হৃদয়, ফয়সাল হোসেন, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব ও দ্বীপ চৌধুরী প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন।

‘প্রবেশের সময় মাননীয় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিবাদী কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করে। এ সময় অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, পরিসংখ্যান বিভাগ, সহযোগী অধ্যাপক ড. আমান মাহবুব, গণিত বিভাগ, সহযোগী অধ্যাপক জনাব মেহেদী হাসান, মার্কেটিং বিভাগসহ আরও ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন।’

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘উপাচার্য কার্যালয়ে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা করা ও তালা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে মাননীয় উপাচার্য তার কক্ষে প্রবেশ করার পর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা উপাচার্য কক্ষ থেকে নিচে নেমে এসে শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের ওপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে।

‘পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ অন্যান্য আহত লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাকসুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের ওপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন ও শারীরিকভাবে আক্রমণে উদ্যত হন। পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসীরা জেলফেরত হিসেবে দাবি করে শিক্ষকদের দেখে নেবার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এভাবে শিক্ষকদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধমকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনোত্তর সৌহার্দ্য বিনিময়ের জন্য উপাচার্য কার্যালয়ে দেখা করার জন্য উপস্থিত হলে প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় বিপদগামী কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অছাত্ররা উপস্থিত শিক্ষকদের ওপর বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা করে এবং আক্রান্ত শিক্ষকদের নিরাপত্তা বিধান না করে উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষকদের অরক্ষিত রেখে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি সদর দক্ষিণ থানায় জিডি দায়ের করে।

‘এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে উপাচার্য বরাবর শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। অতএব উপরিউক্ত অবস্থা বিবেচনা করে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তার স্বার্থে উক্ত অভিযোগপত্রটি বিবেচনায় নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে কার্যকরী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, ‘রোববার মধ্যরাতে শিক্ষক সমিতি এসে উপাচার্যসহ ২০ জনের নামে অভিযোগ করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর