দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া শিশু কাওছার আলী। আড়াই বছরের শিশুটির হৃৎপিণ্ডে বড় সমস্যা ধরা পড়েছে।
শিশুটির পরিবারের ভাষ্য, কাওছারের হৃৎপিণ্ডে পাঁচটি ফুটো। দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
পরিবারটি জানায়, শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার প্রয়োজন। এ টাকা জোগাড় করতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন শিশুর মা-বাবা।
কাওছার রাজধানীর ইবনে সিনা পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারে অধ্যাপক ডা. কাজী আবুল হাসানের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের শুকদেবকুণ্ড গ্রামের নুর আলমের ছেলে কাওছার। নুর আলমের তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সে।
শিশুটির বাবা নুর আলম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। জমি বলতে চার শতক বসতভিটা। ব্যাটারিচালিত মিশুক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম।
‘জন্মের পর থেকে কাওছার অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে রিকশাটি বিক্রি করেছি। একটি এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। বর্তমানে সংসারের খরচ, এনজিওর কিস্তি, তার ওপর সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। এমনও দিন যায় না খেয়েই থাকতে হয়।’
কথা বলার একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা না খেয়ে থাকতে পারলেও সন্তানরা তো থাকতে পারে না। তাদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না।’ কাওছারের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তার বাবা।
নুর আলম জানান, কাওছারকে সাহায্য পাঠানো যাবে অগ্রণী ব্যাংকের উলিপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৬২০০০২২০৮৫৬০৯ এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশে ০১৮৮৯-১৭৮৯৫৮ নম্বরে।