সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আজগড়া জামতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ, দেয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের কার্যালয় ভাঙচুর ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরে সমর্থকরা।
আহত কর্মী-সমর্থকেরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসন্ন বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি আমিনুল ইসলামের এলাকাভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনার জন্য দৌলতপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেকান্দার মার্কেটে অফিস স্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, রাতে সেখানে তার সমর্থকরা বসে ভোটের আলোচনা করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেলের প্রার্থী হাজি বদিউজ্জামান ফকিরের সমর্থকরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেকান্দার আলী ও মাসুদ আলী, আশরাফুল ইসলামেরওপর হামলা ও মারপিট করেন। তারা অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে চলে যান। পরে আহত সেকান্দার আলী ও মাসুদ আলী, আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এর কিছু সময় পরই আজগড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এ সময় জাহাঙ্গীরকে বাড়িতে না পেয়ে তার ছোট বোন রুপসী খাতুনকে মারপিট করা হয়। রুপসীর প্রতিবন্ধী স্বামী চা দোকানি রমজান আলীকেও বেধরক মারপিট করা হয়।
জামতৈল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকান্দার আলী বলেন, বদি ফকির পরাজয় নিশ্চিত জেনে ক্ষিপ্ত হয়েছে। তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করছে। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই।
আজগড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এলাকার মানুষ নির্বাচনে উচিত জবাব দেবে। তাই বদি ফকির পরাজয় বুঝতে পেরে দেয়াত কলমের কর্মীদের মারপিট শুরু করেছে। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বোন ও ভগ্নিপতিকে মারপিট ও ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। আজগড়া জামতৈল ওই অফিসে আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা টাকা ভাগা ভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ভাঙচুর করেছে। এখানে আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে নানাভাবে প্রচারণা করছে।
বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, রাতে আজগড়াতে একটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমি জানা মাত্র সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।