ঢাকার সাভারে স্ত্রী অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত সন্দেহে তাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরেুদ্ধে। ওই ব্যক্তি ভারতীয় টিভি সিরিজ ‘ক্রাইম প্রেট্রল’ দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করেছেন বলে পুলিশের দাবি।
রো্ববার দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সব কথা জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি।
গ্রেপ্তার মো. ফিরোজ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার রৌহা গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কাশিমপুর বাগবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী আনজুকে বসবাস করতেন।
নিহত আনজু খাতুন নরসিংহপুরের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগুয়া ইনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘আনজু খাতুন পরকীয়া করছেন- এমন সন্দেহ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন স্বামী ফিরোজ। পরিকল্পনা ও ক্রাইম পেট্রল দেখে রপ্ত করা কৌশল অনুযায়ী ঘটনার আগের দিন ২৫ এপ্রিল ফিরোজের ব্যবহৃত মোবাইল সিম দৌলতপুর নিজ বাড়িতে রেখে আশুলিয়ায় এসে নতুন সিম কেনেন ফিরোজ।
‘পরে আনজু খাতুনের কর্মস্থল ছুটি হলে কবিরাজ দেখানোর কথা বলে তাকে নির্জন বাঁশবাগানে নিয়ে স্লাইরেঞ্জ দিয়ে মুখমণ্ডল ও মাথায় আঘাত করেন। আনজু অচেতন হয়ে পড়লে চোখ উপড়ে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তার স্বামী ফিরোজ।’
তিনি বলেন, ‘এরপর রক্তমাখা জামাকাপড় জামগড়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশের একটি ডাস্টবিনে ফেলে নতুন জামাকাপড় পরে আবার গ্রামে চলে যান তিনি। পরে রপ্ত করা কৌশলের শেষ ধাপ স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পোশাক শ্রমিক আনজুর মরদেহ উদ্ধার করে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামি চিহ্নিত করা হয়। এরপর আসামি গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি নির্জন বাঁশবাগান থেকে আনজুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর যান স্বামী ফিরোজ।