দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নানা বয়সী মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জনপদ চুয়াডাঙ্গায় উত্তাপটা আরও বেশি।
গত এক সপ্তাহ ধরে জেলাটিতে অতি তীব্র ও তীব্র দাবদাহ চলছে। এতে দৈনন্দিন অনেক কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় জেলাটিতে এত গরম কেন, তা জানার আগ্রহ অনেকের।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান রোববার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়েস্টার্ন সাইডটা (পশ্চিমাঞ্চল) তাপপ্রবণ এলাকা। আমাদের খুলনা ডিভিশন, রাজশাহী ডিভিশন। ইদানীং রংপুর ডিভিশনও। আমাদের সাবকন্টিনেন্টের (উপমহাদেশ) বিশাল এলাকা কিন্তু ল্যান্ড ভূমি (স্থলবেষ্টিত)।
‘ল্যান্ডটাতে এ সময়ে সূর্যের আলো দীর্ঘসময় খাড়াভাবে পড়ে। এতে ল্যান্ডমাসের (ভূখণ্ড) ওপর তাপীয় লঘুচাপ তৈরি হয়। এটি আস্তে আস্তে ওয়েস্ট থেকে ইস্টের দিকে বিস্তার লাভ করে। এ জন্য তাপমাত্রা এ সাইড দিয়ে বেশি হয়।’
চুয়াডাঙ্গায় গত এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।
তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ। এর আগের দিন শুক্রবারও জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপপ্রবাহে গাছের ছায়ায় স্বস্তি খুঁজছেন চুয়াডাঙ্গার অনেক মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
এর আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বুধবার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল জেলাটিতে।
গত সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আগের দিন সোমবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল সীমান্তবর্তী জেলাটিতে।