“আমার স্বামী ফকিরাপুলে একটি ট্রাভেলসের (ট্রাভেল এজেন্সি) কাজ করতেন। (শনিবার) রাত আটটার দিকে আমাকে মোবাইলে জানায়, ‘লাভলি, তুমি খাবার রেডি করো। আমি আসতেছি।’ এর ঘণ্টাখানেক পরে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে একজন মোবাইলে জানান, নোমান সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। পরে আমি দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে এসে দেখি, আমার স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ ট্রলির ওপর।”
কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায় নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লার (৩৫) স্ত্রী লাভলি।
বাসের ধাক্কায় শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলের চালক। পরে পথচারীরা গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
দুই সন্তানের জননী লাভলি জানান, তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামে। রাজধানীর মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় তারা থাকেন।
নোমানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রাজু আহমেদ জানান, রাতে ওই যুবক বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় সাদ্দাম মার্কেটের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ছটফট করতে থাকেন নোমান। পরে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে জানানো হয়েছে।