বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৪২

দুর্ঘটনায় নিহত সোহাগের জ্যাঠাতো ভাই আল আমিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো যোগসাজস আছে কি না, সেটা জানতে হবে। ঘটনার পর আমরা সবাই মরদেহ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই এজাহারে ওইসব বিষয় তুলে ধরা হয়নি।’

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ওমর ফারুক সোহাগ বাস চাপায় নিহত হয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ঝিনাশ্বর এলাকার নতুন জেলখানার সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

ঘটনার পর সোমবার সকালে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত সোহাগের স্ত্রী ইফাত আরা মুন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ঘাতক বাসের চালক সাদ্দামকে।

৪০ বছর বয়সী ওমর ফারুক সোহাগ গাইবান্ধা পৌর এলাকার সরদারপাড়ার বাসীন্দা। তিনি ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি ছিলেন।

মামলা ও দুর্ঘটনার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলযোগে পলাশবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন সোহাগ। এ সময় তিনি নতুন জেলখানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে গাইবান্ধা থেকে একইদিকে যাওয়া শাওন অ্যান্ড সৈকত পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত তিনি। ঘটনার পর স্থানীয়দের খবরে মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী দুর্ঘটনাকারী বাসটির চালককে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে মামলার বাদীর এজাহারে দেয়া ফোন নম্বরে কল করা হলে তা রিসিভ করেন সোহাগের জ্যাঠাতো ভাই আল আমিন।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সোহাগ ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি ছিল। ওই মামলায় সে প্রায় এক বছর জেল খেটে জামিনে ছিল।’

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো যোগসাজস আছে কি না, সেটা জানতে হবে। ঘটনার পর আমরা সবাই মরদেহ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই এজাহারে ওইসব বিষয় তুলে ধরা হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ জুলাই রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের শহরের পূর্বপাড়ায় অবস্থিত হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন রকি। পরে স্থানীয়রা তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ও হত্যকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত ওমর ফারুক সোহাগের অপর এক আপন ভাইসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান।

ওই মামলায় একই বছরের ১৭ অক্টোবর ওমর ফারুক সোহাগসহ তাদের দুই সহোদরকে শহরের ব্রিজ রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। পরে তারা জামিনে বের হন।

হত্যার শিকার ছাত্রলীগ নেতা রকির বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সাইদার রহমান ছেলে। ২০১৫ সাল থেকে ওই সময় পর্যন্ত রকি ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর