বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৪

২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় আমেনা বেগম নামের এক নারীকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।

সোমবার বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।

৩৯ বছর বয়সী আমেনা বেগম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের স্ত্রী। কাজের সুবাদে তিনি শিবালয়ের টেপড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার বাসীন্দা।

মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামি করে শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। চার মাস কারাভোগের পর শাহীনুজ্জামান জামিনে বের হন।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোসো সত্যতা ও স্বাক্ষী না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। একইসঙ্গে মামলার বাদী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

পরে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন বিচারক। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

মামলায় ৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আমেনা বেগমকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীর নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি এবং এ বিষয়ে তার মতামত জানাও সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর