চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী পাগল হাসানের সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলম। রোববার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে বৃহস্পতিবারের সড়ক দুর্ঘটনায় পাগল হাসানসহ প্রাণ হারালেন তিনজন।
সবশেষ মারা যাওয়া জাহাঙ্গীর আলম ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত আফরোজ আলীর ছেলে।
এদিকে মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনার চারদিন পার হলেও ঘাতক কোস্টারটির মালিককে শনাক্ত করতে পারেনি ছাতক থানা পুলিশ। দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে পাগল হাসানের মা মোছাম্মৎ আমিনা বেগম সালেহা এ ব্যাপারে ছাতক থানায় মামলা করেন।
ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, ঘাতক কোস্টারটির নম্বর দিয়ে মালিকের পরিচয় জানানোর জন্য বিআরটিএ-কে বলা হয়েছে। মালিকের পরিচয় পাওয়ার পর জানতে চাওয়া হবে বাসটি কোন চালক চালিয়ে নিয়ে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের ছাতক সুরমা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় যাত্রীবিহীন একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান এবং তার সহকর্মী আব্দুস ছাত্তার। গুরুতর আহত হন তার অপর সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলম, রুপন মিয়া ও লায়েছ মিয়া। ঘটনার ৪ দিনের মাথায় রোববার সকালে মারা যান জাহাঙ্গীর আলম।