কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মধ্যরাতে এক যুবককে ডেকে এনে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার বাদলের বড় ভাই আলাল মিয়া।
অভিযুক্ত আবদুল করিম ওরফে করম আলী হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে মারধরের শিকার বাদল মিয়া (৩০) একই ইউনিয়নের মঠখলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। বাদল বর্তমানে বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাদলের বড় ভাই আলাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই সাহা ইকু পার্কে দিনমজুর করেন। বুধবার বিকেলেও অন্যদিনের মতো কাজ করছিলেন বাদল। এ সময় করম আলী চেয়ারম্যানের লোকজন এসে পার্কের সীমানা খুঁটি উঠিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে বাধা দেন বাদল। আর এতেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হন তারা।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে চেয়ারম্যানের লোকজন এসে বাদলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে চেয়ারম্যানের বাড়িতেই আটকে রেখে মারধর করা হয়। মারধরের পরেও তাকে চিকিৎসা না করিয়ে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে পুলিশকে জানালে, তারা গিয়ে আহত অবস্থায় বাদলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয় হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল করিম ওরফে করম আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, রাতের আঁধারে বাদলসহ আরও কয়েকজন তার পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তার লোকজন তাকে ধরে ফেলে। পরে চোর হিসেবে স্থানীয়রা বাদলকে মারধর করলে তিনি তাতে বাধা দেন। কিন্তু এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ জামানের ফোন নম্বরে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হিলচিয়া বিট কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুলের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।