সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি এই বন্দরে পৌঁছে।
জাহাজের মালিক পক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমালীয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর চার দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভির এসকর্টে ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। সে কারণে গতি নামিয়ে আনতে হয়েছিল সাড়ে ৭ নটিক্যাল মাইলে।
আর জলদস্যু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রম শেষে ওমানের কাছাকাছি যুদ্ধকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ১১ নটিক্যাল মাইল গতিতে পাড়ি দেয় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ।
মালিক পক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি রোববার বিকেলে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটিতে থাকা কয়লা খালাসের জন্য রাতেই এটি জেটিতে ভেড়ানোর কথা রয়েছে। তা সম্ভব না হলে সোমবার জাহাজটি জেটিতে ভিড়বে।
প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মি দশার পর ১৩ মার্চ রাত ১২টা ৮ মিনিটে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি এক হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এই পথ পাড়ি দিয়ে আট দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছল।
মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে এমভি আব্দুল্লাহ দস্যুদের কবলে পড়ে।
কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর দুজন নাবিকের উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।