চু্য়াডাঙ্গায় অব্যাহত তীব্র দাবদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রোববার বিকেল ৩টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার জেলার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২.৩ ডিগ্রিতে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বেলা গড়ালেও উত্তাপ কমছে না। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলমান অতি তীব্র দাবদাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
জেলায় কয়েকদিন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও পারদ চড়েছে ৪২ ডিগ্রির ঘরে।
দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়।
অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তায় কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘যে তাপ পড়চি, এমন তাপ জীবনে দিকিনি (দেখিনি)। রোদে দাঁড়ানো যাচ্চি না। কাজ করতিও পারচিনি (পারছি না)। একটু কাজ করচি আর একটু ছেমায় বসচি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোববার দুপুর ১২টার দিকে অতি তীব্র তাপদাহে করণীয় বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারি নির্দেশনা মেনে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ সময়ে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা, জেলায় এক লাখ গাছের চারা রোপণ এবং জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।