বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমভি আব্দুল্লাহ একদিন আগেই দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছবে

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৫৪

কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে, এমভি আব্দুল্লাহ ২২ এপ্রিল দুবাইয়ের বন্দরে নোঙ্গর করার কথা ছিল। কিন্তু গতি বাড়িয়ে চলার কারণে একদিন আগে ২১ এপ্রিল জাহাজটি দুবাই পৌঁছবে। সেখানে পণ্য খালাস কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের পথে রয়েছে। জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল। তবে গতি বাড়িয়ে এগিয়ে চলা জাহাজটি একদিন আগেই ২১ এপ্রিল রোববার সংশ্লিষ্ট বন্দরে পৌঁছবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আমিরাতের বন্দরে পৌঁছার পর ২৩ নাবিকের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাদের

মধ্যে দুজন বিমানে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজেই দেশে ফেরার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। যে দুজন বিমানে ফিরতে চান তারা হলেন জেনারেল স্টুয়ার্ড মোহাম্মদ নূর উদ্দিন ও সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। বাকি ২১ জন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।

জাহাজে ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন জেনারেল স্টুয়ার্ড নূর উদ্দিন। কিন্তু এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া এবং জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তিনি দেশে স্বজনের কাছে ফিরতে চাচ্ছেন।

স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফোনে একথা জানিয়েছেন নূর উদ্দিন। ফারদিন নূর নামে তাদের আড়াই বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। জান্নাতুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুস্থ থাকলে অনেক কিছু করা যাবে। কিন্তু মানসিকভাবে তিনি যদি সুস্থ না থাকেন, তাহলে তো বিকল্প ভাবতে হবে আমাদের।’

অভিন্ন ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোজাহেদুল ইসলামও। তিনি তার মা ফেরদৌস আক্তারকে ফোন করে দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।

ফেরদৌস আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে এখন প্রতিদিনই কথা হয়। আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছে ওরা। আমাদেরও দুশ্চিন্তা কমেছে। তবে টেনশন থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারিনি। ছেলে বলছে, তার মানসিক অবস্থা ভালো নেই; দ্রুত দেশে ফিরতে চায়।

‘জাহাজে করে দেশে ফিরতে আরও সাত-আট দিন দেরি হবে। তাই দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফিরবে বলে জানিয়েছে। তবে কবে কোথায় আসবে, তা এখনও জানে না সে। এটা জাহাজের মালিক পক্ষ ঠিক করবে।’

এমভি আব্দুল্লাহর মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে, জাহাজটি দুবাইয়ে ২২ এপ্রিল নোঙ্গর করার কথা ছিল। কিন্তু গতি বাড়ার কারণে একদিন আগে ২১ এপ্রিল দুবাই পৌঁছবে। সেখানে পণ্য খালাস কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কেএসআরএমের সিইও মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুজন নাবিক দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফিরতে চান। বাকি ২১ জন জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। ওই দুজন কখন কীভাবে দেশে ফিরবেন, সেটা আমরা জাহাজ নোঙর করার পর ঠিক করব। যিনি যেভাবে আসতে চান, তাকে সেভাবেই দেশে ফিরিয়ে আনব আমরা।’

কেএসআরএমের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, জাহাজটি ২২ এপ্রিল দুবাইয়ে নোঙর ফেলার কথা থাকলেও তা এখন একদিন এগিয়ে যাচ্ছে। ২১ এপ্রিল এটি নোঙর করবে সেখানে।’

জাহাজটি ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় জলদস্যুমুক্ত হয়। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন নাবিকরা। শুক্রবার বিকেল ৫টায় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬৮৭ নটিক্যাল মাইল এবং দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দর থকে ৯৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। এটি নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত। এজন্য দুশ্চিন্তাও কিছুটা কমেছে নাবিকদের। ফুরফুরে মেজাজে থাকার কিছু ছবিও পাঠিয়েছেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর