ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত তিন দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুই শাতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঈদের ছুটির এই তিন দিনে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১২ জন তরুণ ও যুবক। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। বাকিদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালান। ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে ছুটির তিন দিনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। তাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ ও যুবক।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক অশোক কুমার জানান, ‘ঈদের আগের দিন ২৩৪ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৪০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ৫১ জন।
এছাড়া ঈদের দিন ২৫০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৭৬ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৫৪ জন। আর ঈদের পরদিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেন ৪০ জন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।
ডা. অশোক আরও জানান, সাধারণত ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।