বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নওগাঁয় বেড়েছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি

রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আকিয়াব হোসেন বলেন, ‘চিরকুট লিখে মিটার চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে ট্রান্সফরমার পাহারা দেয়ার জন্য গ্রাহকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নওগাঁর রাণীনগরে বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেকর্ড সংখ্যক এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে।

নওগাঁ পবিস-১ রাণীনগর জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ ফেজের মিটার চুরি হয়েছে ৭টি, যার মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার, ১০ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে ৭টি, যার মূল্য ৬ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৪ টাকা আর ৫ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে তিনটি, যার মূল্য ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৫ টাকা।

সূত্র জানায়, গত ছয় মাসের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৪টি মিটার ও ৬টি ১০ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে ৫ কেভির তিনটি ও ১০ কেভির একটি ট্রান্সফরমার এবং দুইটি মিটার চুরি হয়েছে।

এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গভীর নলকূপের সেচ গ্রাহকরা। এ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনিভাবে সরকারের লোকসান হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

উপজেলার মিরাট গ্রামের রহিম আকন্দ জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ রাতে তার গভীর নলকূপের ১০ কেভিএ তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা মূল্যবান কোর ও কয়েল চুরি করে নেয়া হয়, যার মূল্য ২ লাখ ১ হাজার ৩৩০ টাকা।

তিনি বলেন, ‘এ চুরির ঘটনা ঘটে অফ সিজনে। সেই সময়ে মাঠ শুকনো থাকে। গভীর নলকূপের ঘরে অধিকাংশ সময়ে কেউ থাকে না। এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের কাউকে আটক কিংবা শনাক্ত করতে পারেনি। এমন চুরির কারণে আমাদের সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।’

রহিম আকন্দ আরও বলেন, ‘পূর্বে ট্রান্সফরমার চুরি হলে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেয়া হতো, কিন্তু নতুন আইন অনুসারে ট্রান্সফরমার চুরি হলে তার সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন আইনে আমরা গ্রাহকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

উপজেলার জগৎপুর গ্রামের রমজানের ছেলে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ রাতে মৎস্য খামারে থাকা ৩ ফেজের একটি মিটার চোরেরা চিরকুট লিখে চুরি করে নিয়ে যায়। যে মিটারের মূল্য ১৪ হাজার ৯৮৫টাকা। পরবর্তীতে চিরকুটে লেখা নম্বরে চোরদের চাহিদা মাফিক টাকা বিকাশ করার মাধ্যমে মিটারটি ফেরত পাওয়া গেছে। আমরা এমন চোর সিন্ডিকেটের শাস্তি চাই।’

রাণীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ মোবাইল ফোনে জানান, মিটার চুরিসহ বিভিন্ন চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের আটক করার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন সক্রিয় আন্তজেলা ডাকাতের দলের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। আগামীতেও পুলিশের এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নওগাঁ পবিস-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আকিয়াব হোসেন বলেন, ‘চিরকুট লিখে মিটার চুরির ঘটনা নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলায় বেশি ঘটছে। দেশের অন্য জায়গায় চিরকুট লিখে মিটার চুরির ঘটনা তেমন একটা শোনা যায় না। এমন চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে ট্রান্সফরমার পাহারা দেয়ার জন্য গ্রাহকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকরা যদি পাহারার ব্যবস্থা করে তাহলে এমন ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে চুরির সঙ্গে জড়িত যারা ধরা পড়ছে আইন সংশোধনের মাধ্যমে তাদেরকে দীর্ঘ শাস্তির আওতায় আনা গেলে এমন ঘটনা অনেকটাই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর