মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়ে পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ছাত্র রামিন আরিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ তা উদ্ধার করে।
এরআগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ রামিনের বাবা রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু এবং তার ভায়রা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মরদেহ রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে গোসলে নেমে শুক্রবার বিকেলে নিখোঁজ হন বাবা-ছেলেসহ তিনজন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তারা ওই উপজেলার বেসনাল এলাকার তাদের স্বজন আলম মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হন। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসলে নামেন।
গোসল করার সময় রামিন নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা ও খালু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শুরু করে মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের টিম। পরে ঢাকার ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
টঙ্গীবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পুনরায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে রামিনের মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনেরই মরদেহ উদ্ধার শেষে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।