পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ঈদের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় চার কিশোর নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌর সদরের নতুন বন্দর এলাকার সোনাহার-দেবীগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া সুপারি তলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৬) ও একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. সাব্বির (১৭) এবং দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মজনুর ছেলে মো. সাব্বির (২২), একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে মো. বরকত (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন দুপুর ১টার দিকে ঘোরাঘুরির উদ্দেশে দুটি পৃথক মোটরসাইকেলে তিন কিশোর খাঁ পাড়া থেকে দেবীগঞ্জে আসছিল এবং আরেকটি মোটরসাইকেলে তিন কিশোর কালীগঞ্জের লোহাগার থেকে নীলসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়।
পথে নতুন বন্দর এলাকার দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কে একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন সময় প্রথমে কাউসার আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। রংপুরে যাওয়ার পথে লোহাগাড়া এলাকার সাব্বির নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির ও বরকত নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার চাচাতো ভাই মনির বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন কালীগঞ্জ লোহাগাড়া এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে জাকারিয়া, সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মো. মুসলিম হকের ছেলে সোহেল।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, অফিসিয়ালি দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলা হবে।হোসেন রায়হান