বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের যেসব জায়গায় ঈদ হচ্ছে আজ

  • প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ/ঝিনাইদহ/চাঁদপুর/চট্টগ্রাম   
  • ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:০২

মঙ্গলবার চাঁদ না দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা হয়েছে, তবে সৌদিতে বুধবার ঈদ হওয়ায় এদিনের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের দিন ঠিক করেছে ওই এলাকাগুলো।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের কয়েকটি এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে বুধবার।

মঙ্গলবার চাঁদ না দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা হয়েছে, তবে সৌদিতে বুধবার ঈদ হওয়ায় এদিনের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের দিন ঠিক করেছে ওই এলাকাগুলো।

মুন্সিগঞ্জের ৯ গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মুন্সিগঞ্জের অন্তত ৯ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে । সকালে এ এলাকাগুলোতে ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লা কান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর,বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দি ও কংসপুরার একাংশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।

এসব গ্রামে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ শত বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে। এ ছাড়াও জেলার আরও কয়েকটি এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন হবে।

জাহাগীর তরিকার মুরিদানরা বলেন, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে নব চন্দ্র দেখা দিলে সেই অনুযায়ী ঈদ উদযাপন করা উচিত। তাই আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই ঈদ উদযাপন করে থাকি।

ঝিনাইদহে ঈদ

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রোজা রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। এ বছরও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা।

বুধবার সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা।

ঈদ জামাতের আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াাডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার, চরপাড়া ও পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

ঝিনাইদহের একটি এলাকায় ঈদের জামাত। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহীর কাটাখালি এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা ওয়াজেদ বলেন, আমরা জানি চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে, এ কারণে আমি গতকালই এখানে আত্মীয়ের বাসায় আসছি ঈদের নামাজ পড়তে।

ঈদ জামাতের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা এবং ঈদের নামাজ আদায় করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

ঈদ জামাতের ইমাম রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর পৃথিবীর আকাশে প্রথম চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। যা সৌদি আরবের সাথে মিলে যায়।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, হরিণাকুন্ডুতে তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে কিছু মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে যেখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছি।

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪০ গ্রামের মানুষ।

১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই অঞ্চলে চন্দ্র মাসের হিসাবে রোজা, ঈদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের রীতি শুরু করেন।

এরপর থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের সঙ্গে অনুসারী হিসেবে পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া, শাহরাস্তি উপজেলাসহ জেলার ৪০ গ্রামে আগাম ঈদ পালন করে আসছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলো হচ্ছে- সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, মনিহার, ভোলাচোঁ, জাখনী, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচর, বালিথুবা, কাইতাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর।

মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে আগাম রোজা ও ঈদ পালন করা হয়।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফউল্যাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আগে থেকেই সৌদি, আফগানিস্তান, মিশরের সঙ্গে মরহুম পীর সাহেব ও তার অনুসারীরা ঈদ পালন করেছেন। আমরাও তার ধারাবাহিকতায় বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা পালন শুরু করেন গত ১১ র্মাচ সোমবার থেকে। এ ব্যাপারটি ধর্মীয় ও বেশ সংবেদনশীল হওয়ায় কেউ কিছু বলছেন না বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহ ছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা বুধবার ঈদ উদযাপন করছেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।

জাহাঁগিরীয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের সৈয়্যদ মাওলানা মোহাম্মদ আলীর ইমামতিতে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ও দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মনজুর আলীর ইমামতিতে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া মির্জাখীল দরবার শরীফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ জাহাঁগিরীর (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে মির্জাখীল দরবার শরীফে সকাল ১০টায় ও সৈয়দ ড. মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জারখীল দরবার শরীফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরী ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর জানান, হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান জাঁহাগিরীর দেখানো পথ অনুসরণ করে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, বরমা, ধোপাছড়ি, দোহাজারি, জামিজুরি, মোহাম্মদপুর, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, পন্ডিত বাড়ি, মোস্তা আলী শাহ, কেন্দুয়াপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, পটিয়ার শ্রীমাই, হাইদগাঁও, ফকির পাড়া, বাথুয়া, সাতকানিয়ার রুপকানিয়া, বাঁশখালীর জলদী, গুনাগরি, কালীপুর, গন্ডামারা, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক অনুসারী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বুধবার।

এ ছাড়া বোয়ালখালী, হাটাহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর