পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পণ করা সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৩টি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুরের ৪৫ বছর বয়সী মো. ওহিদুল্লাহ, পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার ৩০ বছর বয়সী মো. আকাশ, একই এলাকার ২৮ বছর বয়সী মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা, চর সাধুপাড়া এলাকার ৪৮ বছর বয়সী আব্দুল হান্নান এবং চর শিবরামপুর এলাকার ৩৫ বছর বয়সী আব্দুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল হান্নানকে ২টি এবং আব্দুর রহমানকে ১টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়িঘর ভাঙচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। এ ঘটনার জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি।
গত ১৭ মার্চ ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যান এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় উপর্যুপুরি গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।