বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন নারী রয়েছেন।
সোমবার বিকেলে রুমা উপজেলার বেথালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
এর আগে সোমবার দুপুরে একই পাড়া থেকে কেএনএফের সক্রিয় ২ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ তাদের ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর একটি দল সোমবার রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহভাজন ১৮ নারী ও ৩১ জন পুরুষকে আটক করা হয়। পরে তাদের বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এছাড়া বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে কেএনএফের সক্রিয় তিন সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় ব্যাংক ডাকাতির সময় সহযোগিতায় অভিযুক্ত এক ড্রাইভারকে আটক করা হয়।
রোববার রাতে রুমা ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনা অভিযানে সাতটি দেশি বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, কেএনএফের ইউনিফর্ম, বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে রুমা সোনালী ব্যাংক শাখার সহকারী ক্যাশিয়ার ও কেএনএফের ২ সদস্যকে আটক করা হয়।
ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন রুমার সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কেএম আরাফাত আমিন।
এদিকে কেএনএফের লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে রুমা ও থানচি উপজেলায় অভিযানে যুক্ত হয়েছে সাঁজোয়া যান, যা দিয়ে এ দুই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ‘রোববার গভীর রাতে রুমা ও থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফের তিন সদস্যকে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সেসঙ্গে ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করার পাশাপাশি ড্রাইভারকেও আটক করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই সাঁজোয়া যানগুলো রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।’
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ‘ব্যাংক ডাকাতি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, অস্ত্র ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’