বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় দুই মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৪

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কিশোররা অপরাধে জড়িত হলে তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলি। তাদের সংশোধনের জন্য যেন সুযোগ রাখা হয়। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের নিয়োজিত করার যেন সুযোগ রাখা হয়।’

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোমবার সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দিতে বলেছেন। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কিশোররা অপরাধে জড়িত হলে তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলি। তাদের সংশোধনের জন্য যেন সুযোগ রাখা হয়। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের নিয়োজিত করার যেন সুযোগ রাখা হয়।

‘জেলখানায় যখন রাখা হয়, তখন তাদের যাতে অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্প নেয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

সচিব বলেন, দেশে এখন তিনটি সংশোধানাগার আছে, যার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে বলেছেন, যাতে করে অপ্রাপ্তবয়স্করা সংশোধন হতে পারে। সমাজে, রাষ্ট্রে তারা যেন তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারে, সেভাবে যেন তাদের সংশোধন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন। কিশোর অপরাধীদের যখন ব্যবস্থাপনা করা হয়, তখন যেন অবশ্যই মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলর বড় ভূমিকা পালন করেন। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে বলেছেন।

সরকারপ্রধানকে উদ্ধৃত করে সচিব বলেন, ‘আইন স্বাভাবিক গতিতে চলবে। এদেরকে যখন হ্যান্ডেল করব, তখন তাকে যেন আরও অপরাধী না বানাই। তাকে যেন সংশোধন হওয়ার পরিবেশ দেয়া হয়। জেলে থাকলেও যেন ভালো নাগরিক হয়ে বের হয়ে আসতে পারে।

‘সংশোধনের সুযোগটা যাতে তারা পায়। কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করার সময় মনে রাখতে হবে তারা ভবিষ্যতের নাগরিক। অন্য অপরাধীদের সঙ্গে তাদের যেন না রাখি।’

এ বিভাগের আরো খবর