মাগুরা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমে শহরের হাজী আব্দুল হামিদ সড়কের লাইফ কেয়ার নামের বেসরকারি ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার সিজার করা হয় ওই নারীকে। এরপর মাগুরা সদর হাসপাতালে শুক্রবার ফের অস্ত্রোপচার করা হয়।
এরপর আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করলে শুক্রবার রাতে ওই প্রসূতি মারা যান।
প্রাণ হারানো ২১ বছর বয়সী শায়লা রহমান সেতু মাগুরা শহরের তাঁতিপাড়া এলাকার আইনজীবী মিজানুর রহমান ফিরোজের মেয়ে এবং জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী। তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লায়। স্বামী আহাম্মদ রায়হান একজন প্রকৌশলী।
নিহতের বাবা মিজানুর রহমানের অভিযোগ, মেয়ে শায়লাকে বৃহস্পতিবার রাতে লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন তিনি। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে ডা. জাফরিন আক্তারের সিজারিয়ানে শায়লার একটি ছেলে জন্ম হয়, কিন্তু ছেলের জন্মের পর থেকে শায়লার শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। পাশাপাশি চিৎকার করে ঘন ঘন জ্ঞান হারাতে থাকেন শায়লা।
একপর্যায়ে শায়লাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক শফিউর রহমান শুক্রবার ফের শায়লার অস্ত্রোপচার করেন।
অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময়ে শায়লার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে একাধিক ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শফিউর রহমান তাকে দ্রুত ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভ্যান্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে শুক্রবার রাতে শায়লার মৃত্যু হয়।
শায়লার বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভুল অস্ত্রোপচারের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শায়লার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে ডা. শফিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তক্ষরণজনিত (পিপিএইচ-পোস্ট পার্টাম হেমারেজ) কারণে মৃত্যু হয়েছে।’
মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন শামীম জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।