বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে রূপসায় সার বোঝাই কার্গোডুবি

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৬

বন বিভাগ সূত্র জানায়, রূপসা-পশুর অভিন্ন নদীর পানখালী এলাকাতে ৪০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে ডলফিনের অভয়ারণ্য রয়েছে। লাইটার জাহাজটি যেখানে ডুবে গেছে, সেখান থেকে ওই অভয়ারণ্যের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। সেখানে বিরল প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন ও ইরাবতি ডলফিন বসবাস করে।

খুলনার রূপসা রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে একটি সার বোঝাই লাইটার জাহাজ রূপসা নদীতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া এই স্থান থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিনের অভয়ারণ্য।

যশোরের নোয়াপাড়া নদী বন্দরের দিকে যাওয়ার পথে রূপসা নদীতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনায় পড়ে জাহাজটি।

ওই লাইটার জাহাজে ১৩ জন নাবিক ছিলেন। তাদের মধ্যে কালাম ও শাকায়েত নামে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি ১১ জন সাঁতরে নদীর তীরে পৌঁছাতে পেরেছেন।

খুলনার রূপসা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই লাইটার জাহাজটি সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ থেকে সার নিয়ে যশোরের নোয়াপাড়া নদী বন্দরের দিকে যাচ্ছিল, পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় ডুবে যায়।’

কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, এমভি টিএলএন-১ নামের লাইটার জাহাজে এক হাজার ১৪০ টন টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সারবোঝাই ছিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, রূপসা-পশুর অভিন্ন নদীর পানখালীতে ৪০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে ডলফিনের অভয়ারণ্য রয়েছে। লাইটার জাহাজটি যেখানে ডুবে গেছে, সেখান থেকে ওই অভয়ারণ্যের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। সেখানে বিরল প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন ও ইরাবতি ডলফিনের বাস।

২০২০ সালের ৪ মার্চ বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই এলাকাকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ডুবে যাওয়া কার্গোতে থাকা রাসায়নিক সার জলীয় পরিবেশে মিশে যাওয়ায় ডলফিনের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে ওপর পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, ‘রাসায়নিক সারসহ জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে জলজ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক প্রাণী মারা যায় বা তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। জলজ খাদ্য শৃঙ্খলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘আগে শ্যালা নদী দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করত। ওই নদীটাও ডলফিনের অভয়ারণ্য। তবে একবার তেলবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে বনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকিতে পড়েছিল। তখন ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে সরকারের কাছে নৌ পথটি বন্ধের আবেদন করা হয়েছিল।‘বিকল্প একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ খনন করে সরকারের পক্ষ থেকে শ্যালা নদীতে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’

মিহির কুমার আরও বলেন, জাহাজগুলো চলাচলে সুন্দরবন ও পার্শ্ববর্তী অভয়ারণ্য এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তা নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম চলমান।

এ বিভাগের আরো খবর