বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনা পয়সায় পছন্দের জামা পেল শিশুরা

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ   
  • ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২০

শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, ‘আমরা ছয় বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করে আসছি, কিন্তু যাকে পোশাক দিচ্ছি, তার পছন্দমতো হয়েছে কি না, সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাদের পছন্দের অধিকার দিতেই এ আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ বাজার। বিনা পয়সার বাজার থেকে দুই শতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে।’ 

ভ্রাম্যমাণ চারটি স্টলে থরে থরে সাজানো শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফ্রক, কামিজসহ নানা ধরনের পোশাক। সেখান থেকে নিজেদের পছন্দমতো পোশাক নিচ্ছে শিশুরা। অপর পাশে পোলাওয়ের চাল, সেমাই, চিনি ও পেয়াঁজ নিয়ে বসা আরেকটি স্টল। সেখান থেকে পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিচ্ছেন লোকজন।

এসব পোশাক কিংবা খাদ্যের জন্য টাকা দিতে হয়নি শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের।

ঈদকে সামনে রেখে শনিবার বিনা মূল্যে পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের এ আয়োজন করা হয় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে।

স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকা দিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন’ নামের স্থানীয় একটি সংগঠন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনটির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল।

তিনি বলেন, ‘এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। তারা যে কার্যক্রম করেছে, এতে শিশুদের পছন্দের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।’

বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা পাঁচ বছরের শিশু মোবারক বলে, ‘কোনো টাকা ছাড়া আমি নিজের পছন্দমতো পোশাক কিনেছি। নিজের পছন্দের জিনিস পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে।’

আরেক ক্রেতা জুমা (৮) বলে, ‘আগেও ঈদের পোশাক পাইতাম, কিন্তু নিজের পছন্দ কইরা নেয়ার সুযোগ আছিন না। এইহান থাইক্যা নিজের পছন্দমতো একটা পাঞ্জাবি লইছি।’

শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, ‘আমরা ছয় বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করে আসছি, কিন্তু যাকে পোশাক দিচ্ছি, তার পছন্দমতো হয়েছে কি না, সেটা আমরা বুঝতে পারিনি।

‘বাচ্চাদের পছন্দের অধিকার দিতেই এ আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ বাজার। বিনা পয়সার বাজার থেকে দুই শতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর