পুনর্বাসনের আগে ভাষানটেক বস্তির একটি ঘরও উচ্ছেদ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, ‘আগে পুনর্বাসন তারপর উচ্ছেদ।’
শনিবার ভাষানটেক বিআরপি প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ভাষানটেক জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা মসজিদ-সংলগ্ন পানির পাম্প উদ্বোধন ও বস্তিবাসীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নির্বাচনের সময় আপনাদের কথা দিয়েছিলাম ভাষানটেক বিআরপি প্রকল্প নিয়ে। সকল বস্তিবাসীকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাষানটেক বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের কথা বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিআরপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী আড়াই বছরের মধ্যে পুরো ঢাকা শহরে পানির সমস্যা সমাধানে মেঘনা নদী থেকে ব্যবহারের উপযোগী করে পানি সরবরাহ করা হবে। ঢাকা শহরের মধ্যে আর কোনো পানির পাম্প বসানো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মাঝে উন্নয়নের রোল মডেল।’
এর আগে প্রয়াত ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া এদিন তিনি ভাষানটেক মাসজিদুল আমান কমপ্লেক্স জামে মসজিদ সংলগ্ন পানির পাম্পের উদ্বোধন, ভাষানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন, দেওয়ানপাড়া সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন এবং ভাষানটেক ইসলামিয়া মাদ্রাসা মসজিদ সংলগ্ন পানির পাম্পের উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহির আহমেদের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।