বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, ছাড় নয়

  • প্রতিনিধি, বান্দরবান   
  • ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৯

বান্দরবানে মতনিসিময় সভায় আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আগাম তথ্য দেয়ার বিষয়ে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পার্বত্য তিন জেলায় খুব শান্তির পরিবেশ ছিলো। হঠাৎ একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী অবস্থান জানান দেয়ার জন্য রুমাতে একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কাজেই রাষ্ট্র এখানে চুপ থাকতে পারে না। করণীয় সব ব্যবস্থাই আমরা নেব। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন যৌথ অভিযান চালানোর। সেটাও চলবে।’

শনিবার সকালে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ও রুমা উপজেলা কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বান্দরবানে কোনো অস্ত্রধারীকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা বিদেশে থাকলেও আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে এনে তাদের বিচার করবো।

‘আমরা জনগণের সরকার। জনগণের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিয়ে নয়, জনগণ যদি মনে করে এ বিষয়ে শান্তির ডায়ালগ চালিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা চাই না। যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

‘পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আগাম তথ্য দেয়ার বিষয়ে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকাল ১১টায় বান্দরবানের রুমা ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সোনালী ব্যাংকের শাখাসহ বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। রুমায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি দুপুর ১২টায় বান্দরবান সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক মিলিত হন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার প্রধান মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার মেহেদী হাসান, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা ইউএনও অফিসসংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। পরে তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

রুমার ঘটনার পরপর যৌথ অভিযান চালিয়ে (৪ এপ্রিল) অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী।

এ বিভাগের আরো খবর