গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় কলা ব্যবসায়ী লেবু শেখকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আলম ও ফজলে রাব্বী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গেপ্তারকৃতরা হলেন, জরিপপুর গ্রামের আলিমুদ্দিনেরর ছেলে ৩৩ বছর বয়সী নুর আলম এবং একই এলাকার গোলাম রাব্বানীর ছেলে ২২ বছর বয়সী ফজলে রাব্বী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জের জরিপপুর (জঙ্গলমারা) গ্রামের নিহত ৪৪ বছর বয়সী লেবু শেখের সঙ্গে পাশের গ্রামের নুর আলম ও ফজলে রাব্বীদের দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমি লেবু শেখ বুঝে পেতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা।
গত ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে লেবু শেখ উপজেলার রাজা বিরাট বাজার হতে কলা বিক্রি করে বাইসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ফুলপুকুরিয়াগামী পাকা রাস্তায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা লেবুর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো ছোরা দিয়ে উপর্যুপুরী কোপাতে থাকেন। এতে লেবু শেখের গলার শ্বাসনালী কেটে যায় এবং বুকে গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থল থেকে লেবুর মরদেহ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত লেবু শেখের ছেলে নাইম ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই/তিনজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকায় গাইবান্ধা ও ঢাকা র্যাবের যৌথ অভিযানে আত্মগোপনে থাকা এই দুই আসামি ধরা পড়েন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।