বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোনো সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল, কিন্তু তাদের এ ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা তো দৈত্য। হরর মুভির মতো বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।’
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।
‘জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এ জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো, তাদের ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোনো পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।’