ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে এক যৌনকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বৃষ্টি আক্তার নামের ওই নারীর। খবর পেয়ে কোতয়ালী পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, ২৫ বছর বয়সী বৃষ্টি আক্তারের মা-বাবা নেই। ছোটবেলা থেকেই শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে বড় হয়েছেন তিনি। পরে সেখানেই পেশা হিসেবে যৌনকর্মীর পথ বেছে নেন তিনি। সেখানে থাকতেই শহরের রথখোলা এলাকার আজিম নামের এক ব্যাক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিন মাস আগে আজিম বৃষ্টিকে বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলে সিঅ্যান্ডবি ঘাট থেকে রথখোলা এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আজিমের সঙ্গেই ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি রিকশায় গুরুতর আহত বৃষ্টিকে সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে পাঠিয়ে দেন আজিম। সেখানে গেলে যৌনকর্মীরা বৃষ্টিকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের দেয়া তথ্যানুসারে, বৃষ্টির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকি তার জননাঙ্গেও ক্ষত ছিল।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যৌনকর্মী বৃষ্টির মৃত্যু হয়েছে। আজিম নামে তার কথিত প্রেমিক বা স্বামী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বৃষ্টির মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এই বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।