বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোমালিয়ায় জিম্মি সাইদুজ্জামানের পরিবারকে ঈদ উপহার নওগাঁর ডিসির

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:২১

নওগাঁর ডিসি গোলাম মওলা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সাইদুজ্জামানের পরিবার জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমি দরখাস্ত করি। সরকার সবসময় এ পরিবারের পাশে থাকবে। সকলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে জিম্মি নাবিকরা যেন পরিবারের মাঝে অতি তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন।’

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উপহার নিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলাম মওলা।

সাইদুজ্জামানের স্ত্রী, মা, বাবা ও মেয়েশিশুর জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে উপহার নিয়ে যান ডিসি।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী সাইদুজ্জামানের বাড়ি নওগাঁ জেলা শহরের দুবলহাটি রোড এলাকায়।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইদুজ্জামানের মেয়ে মেহেরিমা সাফরিন জামানের জন্য ঈদের নতুন জামা উপহার দেন ডিসি গোলাম মওলা। এ ছাড়াও রমজানে এ পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়া হয়।ঈদ উপহারসামগ্রী সাদরে গ্রহণ করে সাইদুজ্জামানের বাবা সাবেক অধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবারের প্রতি যে সমবেদনা জানিয়েছেন, তাতে আমরা সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। গতকাল আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে দস্যুরা তাদের সঙ্গে বেশ নমনীয় ব্যবহার করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে আমাকে বলেছে, কোম্পানি থেকে জিম্মি জাহাজে ২০টি দুম্বা দেয়া হয়েছে। ১০টি জিম্মি নাবিকদের আহারের জন্য দেয়া হয়েছে। আর বাকি ১০টি দস্যুরা নিয়েছেন।’

আবদুল কাইয়ুম বলেন ‘সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা বেশ খুশি, তবে খুব তাড়াতাড়ি সন্তান ঘরে ফিরে আসলে পরিবারে বইবে খুশির ঈদ।’

সাইদুজ্জামানের স্ত্রী মান্না তাহরিন শতধা বলেন, ‘সুস্থ-সবলভাবে সকল জিম্মি যেন ঘরে ফিরে আসে, এমনটাই প্রত্যাশা। সরকার ও কোম্পানির পদক্ষেপে যেন কোনো গড়িমসি না থাকে, এমনটাই চাওয়া আমাদের, তবে জিম্মি উদ্ধারে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। জেলা প্রশাসক নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাই পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ডিসি গোলাম মওলা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সাইদুজ্জামানের পরিবার জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমি দরখাস্ত করি। সরকার সবসময় এ পরিবারের পাশে থাকবে।

‘সকলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে জিম্মি নাবিকরা যেন পরিবারের মাঝে অতি তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সকল প্রকার কাজ করে যাচ্ছে।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ ক্রুসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা।

জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে দস্যুরা। মূলত জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির বিষয় নিয়ে এরপরই আলোচনা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সমঝোতা নিয়ে জাহাজমালিক ও দস্যুদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমে এসেছে। জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর