বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূর্ব রেলের কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অবশেষে মামলা

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১১

রেলওয়েকে কোনো পণ্য না দিয়ে এত টাকা নিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আলোচনা-সমালোচনার মুখে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনার তিন মাস পর আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব কর্মকর্তা মো. সোহাগ মীর বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল হকের আদালতে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মামলায় যে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব কর্মকর্তা রফিকুল বারী খানের দপ্তরের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর হাবিব উল্লাহ খান হাবিব, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দি কসমোপলিটন করপোরেশনের কর্মকর্তা মো. সোহাগ ও সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার হিসাবরক্ষক কোহিনুর আকতার।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এসএম সিরাজদৌল্লাহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয় হয়, ‘আসামি হাবিব উল্লাহ খান ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে রেলওয়েতে অস্থায়ী ভিত্তিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছেন। দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে গোপনে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।

‘২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে রেলের ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করেন। ওই বিলে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করার পাশাপাশি নকল সিল বানিয়ে রেলের ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দি কসমোপলিটন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রেলের বেশ কিছু সরঞ্জাম কেনা হয়। এর মধ্যে চারটি কাজের বিল তিন কোটি ৬২ লাখ টাকা কসমোপলিটনকে পরিশোধের জন্য হিসাব বিভাগকে চিঠি দেন প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ উদ্দীন। সে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সমস্যা সৃষ্টি হয় এই টাকার বাইরে আরও ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে তুলে নেয়া হলে।

রেলওয়েকে কোনো পণ্য না দিয়ে এত টাকা নিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আলোচনা-সমালোচনার মুখে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাবরক্ষক মামুন হোসেন, মো. আবু নাছের, শিমুল বেগম, সৈয়দ সাইফুর রহমান, অডিটর পবন কুমার পালিত, জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম ও অফিস সহায়ক মাকসুদুর রহমান।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। তার আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি একটি গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নাই। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর