১৫ মাসের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এক নারীর সাহসকিতা ও দূরদর্শিতায় স্থানীয়দের সহযোগতিায় শিশুটিকে ফিরে পেয়েছে তার বাবা-মা।
ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান ও সুমাইয়া দম্পতির ১৫ মাসের মেয়ে তাহিয়া। তাদের বাড়িতে নাঈম নামের ২০ বছর বয়সী এক দিনমুজুর কাজ করতে এসে তাহিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। যাত্রীবাহী গাড়িতে করে করে পালানোর সময় গাড়িতে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে আরেক নারী যাত্রীর শিশুটির সঙ্গে যুবকের সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ হয়। পরে তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে নাঈমকে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়।
মাগুরা সদর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, অভিযুক্ত নাঈম গত ২৮ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান মিয়ার বাড়িতে কৃষিকাজের জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি শিশু তাহিয়াকে চুরি করে ঝিনাইদহ থেকে মাহেন্দ্রতে (অটোরিকশা) চড়ে মাগুরার দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে হাটগোপালপুর এলাকা থেকে মাগুরা শহররে পশু হাসপাতাল পাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের এক মহিলা ওই মাহেন্দ্রতে ওঠে। শিশু বাচ্চাসহ নাঈমকে দেখে ও তার সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হয় জান্নাতুল ফেরদৌসীর।
তিনি জানান, মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে এসে সহাসিকতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে জান্নাতুল অন্যান্যদের সহযোগতিায় শিশুসহ অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিয়ে আসেন। থানায় পুলিশি জেরার মুখে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।
অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বলে জানান ওসি মেহেদী রাসেল।
তিনি আরও বলেন, ‘পরে বিষয়টি ঝিনাইদহ থানায় অবহিত করলে ঝিনাইদহ থানা শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এলে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত নাঈমকে ঝিনাইদহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’