কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে পাঁচজন। এ ঘটনায় ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।
ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক শহরের কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ড কমলপুর মধ্য পাড়া ও পূর্ব পাড়া এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে লোকাল বাসস্ট্যান্ড ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের বিপরীত পাশে মানিক মিয়ার হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার আজিবর ও ওমর মিয়ার মধ্যে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুইজনকে মিলিয়ে দেন দোকান মালিক মানিক মিয়া।
ঘটনার আধঘণ্টা পর দুইপক্ষ দা, বল্লম, লাঠিসোঠা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার এক পর্যায়ে কমলপুর মধ্যপাড়ার সংঘর্ষকারীরা পূর্বপাড়ার ১০ দোকান এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়াসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় কমলপুর মধ্যপাড়ার আইনুল মিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্টের মতো সামান্য বিষয় নিয়ে কিছু পোলাপান ঝগড়ায় মেতেছে। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। সংঘর্ষকারীরা অনেকগুলো দোকানের শাটার কুপিয়ে ভেঙে দিয়েছে।’
পূর্ব পাড়া এলাকার কাজী মামুন বলেন, ‘আমি একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুই পক্ষের কিছু বখাটে যুবক দা, বল্লম, লাঠিসোঠা নিয়ে ঝগড়া করছে। ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় মধ্য পাড়ার কিছু বখাটে যুবক দোকান পাট ভাঙচুর করছে। আমি চেষ্টা করেছি ফিরিয়ে দিতে, কিন্তু তারা আমার কোনো কথা শুনেনি।’
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রিপন মিয়া ও বাচ্চু মিয়া জানান, তারা দোকান বন্ধ করে মসজিদে তারবিহ নামাজে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন দোকানের শাটারগুলো কুপিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ বলেন, ‘তুচ্ছ একটি ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি।’
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।