বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যা) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’
নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ দলীয় কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: ইউএনবি
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন। এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার মনে করে।’
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রশাসনের মদদে বেপরোয়া আচরণ করছে। তারা নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় রয়েছে।
‘নাটোর বিএনপির নেতারা গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও তার ব্যতিক্রম নয়।’
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’