দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমিয়ে দেশের যাত্রীসাধারণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী অধিকার রক্ষায় সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
দেশের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় সোমবার দেশের যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।
সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো পর সরকার আজ বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানো ঘোষণা দিয়েছে। যা কোনোভাবেই কার্যকর যোগ্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে সরকার ২০১১ সালে বাসের ভাড়া দুই পয়সা কমিয়েছিল। এর সুফল যাত্রীরা পাইনি। এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকেও দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারও বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল কোনো পরিবহনে মিলবে না। এতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল কেবল বাস ও অন্য পরিবহনের মালিকেরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানান সংগঠনটি।