বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিষ প্রয়োগে অর্ধশতাধিক হাঁসের মৃত্যুর লিখিত অভিযোগ থানায়

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ১ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২৫

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুব আলম মোবাইলে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অর্ধশতাধিক হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে লতিফ মিয়ার নিজস্ব খামারে রোববার সকালে হাঁসের মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আবদুল লতিফ মিয়ার ভাষ্য, শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে খামারের হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই এলাকার নাছিম আলীর নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রোববার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন খামারি আবদুল লতিফের বড় ছেলে মাজেদুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, খামারির বাড়ির পূর্ব পাশে তাদের হাঁসের খামার। বর্তমানে খামারে প্রায় ১০০ হাঁস লালনপালন করা হচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার নাছিম আলী খামারিদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। কারণ প্রতিবেশী নাছির আলী অভিযোগকারী মাজেদুলের বোনের হত্যা মামলার আসামি।

অভিযোগকারী মাজেদুলের মা শনিবার রাতে খামারের পুকুরে নাছিম আলীকে দেখতে পান। পরের দিন সকালে পুকুরে নামলে প্রায় ৬০টি হাঁসের মৃত্যু হয়।

লিখিত অভিযোগকারী মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাতে আমার মা নাছিম আলীকে পুকুরপাড়ে দেখেছিলেন। আর সকালে হাঁসগুলো পুকুরে নেমেই দাপাদাপি করতে করতে একে একে ৬০টি হাঁস মারা যায়। প্রতিশোধ নিতেই নাছিম আলী রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ মিশিয়ে আমাদের হাঁসগুলো মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’

খামারি আবদুল লতিফ বলেন, ‘কুষ্টিয়া থেকে হাঁসের বাচ্চা এনে অনেক কষ্টে খামার গড়েছিলাম। নিজের পুকুর ও বাড়ির উঠানের মধ্যেই হাঁসগুলো পালন করতাম, অন্যের জমিতে নামতে দিতাম না। একেকটি হাঁসের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাঁসের খামারেই আমাদের সাতজনের সংসার চলত। সকালে হাঁসগুলো পুকুরে নামার কিছুক্ষণ পর মরে যায়। রোগ হলে তো এতগুলো হাঁস একবারে মারা যেত না।

‘পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে হাঁসগুলোকে হত্যা করা হয়। আমার আয়ের একমাত্র সম্বল শেষ হয়ে গেল।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুব আলম মোবাইলে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর