বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় নিতে খিড়া নদীতে বাঁধ

  • প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)   
  • ৩১ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৪৪

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিজমির সেচ কার্যক্রম। আবার তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহল। এতে করে হুমকিতে পড়েছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি।

ভূমিখেকো আর ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম্য বলে কথা। তারা একের পর এক ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। ভেকু মেশিনের মাধ্যমে আবাদি জমি হয়ে পড়ছে ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর জলাধার। আবার এসব মাটি বহনে ট্রাক বহর চলাচলে প্রবাহ বন্ধ করে নদীর বুকে বানিয়েছে সড়ক।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গ্রামগুলোতে চলছে এমন বেআইনি কর্মকাণ্ড। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ।

মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্বপাড়ায় খিড়া নদীতে (সরু নদী) বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে। আর এই অপকর্মের হোতা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান।

বহতা নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিজমির সেচ কার্যক্রম। আবার তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহল। এতে করে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি।

উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খিড়া নদী। একসময় এ নদী দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করত। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮-১০টি ট্রাক্টর কৃষিজমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা যেভাবে কৃষিজমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর তারা আর ফসল ফলানোর জন্য জমি পাবেন না। প্রশাসন এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এলাকার সব ফসলি জমি জলাধারে পরিণত হবে।

তবে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশে থাকে। জমিগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খবর নিয়ে খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর