বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন সপ্তাহ পর উদ্ধার টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)    
  • ৩১ মার্চ, ২০২৪ ১৫:১০

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘পুলিশ অপহৃত ছয় বছরের শিশু ছোয়াদ বিন আবদুল্লাহকে উদ্ধার করেছে। অপহরণ চক্রের পুরো গ্যাংদের রাত আটটার দিকে আটক করা হয়। টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে গত ৯ মার্চ মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।’

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহরণের শিকার হওয়ার তিন সপ্তাহ পর মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আবদুল্লাহকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানার কনফারেন্স রুমে রোববার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওসি ওসমান গণি। এর আগে শনিবার রাত আটটার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশের ভাষ্য, অপহরণের ঘটনায় সর্বশেষ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের চার লাখ টাকা, অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘পুলিশ অপহৃত ছয় বছরের শিশু ছোয়াদ বিন আবদুল্লাহকে উদ্ধার করেছে। অপহরণ চক্রের পুরো গ্যাংদের রাত আটটার দিকে আটক করা হয়। টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে গত ৯ মার্চ মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

‘আনোয়ার সাদেক, শাহীন, তোহা, নাগু ডাকাত, মধু, হোসনে আরা এবং তাদের পরিবারের সদ্যস্যরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল হিসেবে মহেশখালী উপজেলায় কালারমারছড়া দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ভিকটিমের মাকে বারংবার মোবাইলের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এমনকি মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে এ চক্র। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহৃত শিশুকে বিভিন্ন সময় নির্মমভাবে মারধর করত; শিশুটির মাসহ পরিবারের লোকজনকে কান্নাকাটির শব্দ শোনাত।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোয়াদ বিন আবদুল্লাহ প্রতিদিনের মতো টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসায় ৯ মার্চ সকালে পড়তে যায়। দুপুরে মাদ্রাসায় ক্লাস শেষে বাড়ির ফেরার পথে শিশুটিকে থামিয়ে দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে গেছে বলে জানায় বোরকা পরিহিত এক নারী। পরে ওই নারী শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

‘এ ব্যাপারে শিশুর মা নুরজাহান বেগম থানায় লিখিতভাবে অবহিত করছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তাতে শিশুটিকে একজন নারী অটোরিকশায় তুলে নিতে দেখা যায়। পুলিশ ৩০ মার্চ অভিযান চালিয়ে ২২ দিনে অপহরণের ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ এ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘অপহরণের ঘটনায় জড়িত অপহরণ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর