বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, আহত ৫০

  • প্রতিনিধি, লালমনিরহাট   
  • ৩০ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫১

এ বিষয়ে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেব না। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে ধাক্কা দিয়েছে আরেকটি ট্রেনের ইঞ্জিন, এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বুড়িমারী হতে পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন এ দুর্ঘটনা পড়ে।

গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা রেলওয়ের হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গুরুতর আহতরা হলেন, শেফালি আক্তার (৪০), সামিনা খাতুন (৬২), নবিজুল ইসলাম (৬০), জাহেদুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুড়িমারী থেকে পার্বতীপুরগামী ৪৫৬/৪৬১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশনে আসলে ইঞ্জিন পরিবর্তনের জন্য বগিগুলোর সঙ্গে সংযোগের উদ্দেশে লোকোশেড থেকে এগিয়ে আসতে থাকে একটি ইঞ্জিন।

এ সময় রেলওয়ের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ ইঞ্জিনটি চালাচ্ছিলেন। বগির কাছাকাছি আসার সময় ইঞ্জিনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়।

ট্রেনে থাকা অর্ধশত যাত্রী ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে আতঙ্কে ছুটতে থাকেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে পাশেই থাকা রেলওেয়ের বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

দুর্ঘটনায় আহত শেফালি আক্তার বলেন, আমি ভেবেছিলাম ইঞ্জিন বদলের সময় তেমন জোরে ধাক্কা দেয় না। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ইঞ্জিন প্রবল বেগে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার মাথায় দুটি সেলাই পড়েছে।

নবিজুল ইসলাম বলেন, আমার রংপুর যাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনে উঠেছিলাম। হঠাৎ ধাক্কায় আমার মাথা সিটের লোহায় লেগে ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমাকে লোকজন হাসপাতালে পাঠিয়েছে, আমার মাথায় চারটি সেলাই দিয়েছে ডাক্তার।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি।

এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. নূরন্নবী বলেন, একটা ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে পার্বতীপুর রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেব না। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর