কক্সবাজারের চকরিয়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ছয়টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর বাড়িতে শুক্রবার সকালে র্যাব-১৫ এ অভিযান চালায়।
অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলো চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে র্যাব জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী একজন খামারি। গরু, মহিষ, রাজহাঁস, কবুতরসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি লালনপালন করেন তিনি। তার বাড়িতে অনেক দিন ধরে আলাদা ঘরে ছিল প্রাণীগুলো। এসব পশুপাখির দেখভাল করার জন্য লোকজন রয়েছেন।
বাহিনীটির ভাষ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অপরাধ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ওই ছয়টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের বাড়িতে কিছু বন্যপ্রাণী লালনপালনের খবর পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৫-এর একটি অভিযানিক দল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি মেছো বাঘ, দুটি বক, একটি ময়না ও একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীগুলো ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।’
সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত পশুপাখি লালনপালন করি। গরু, মহিষ, কবুতর, তোতা পাখি, ময়না পাখি থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির পশুপাখি।
‘এসবের দেখাশোনা করার জন্য আমার আলাদা লোকজন আছে। শখের বসে পশুপাখিগুলো পালন করা আইনি অপরাধ আমি জানতাম না।’
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছুসংখ্যক বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫, তবে এখনও নবী হোসাইনের বিরুদ্ধে কেউই কোনো অভিযোগ করেনি।’