চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে ৯ বছরেরও বেশি সময় আগে দায়ের হওয়া এক মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল আরেফিনের আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম ও জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. শাহাদাত হোসেন এবং আবুল হাশেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীদের একজন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আসামিদের নির্দোষ দাবি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।’
আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মামলা। বাদী পক্ষ অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বন্দর নগরের কোতোয়ালি থানায় কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডাকে ২০ দলীয় জোট। সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।
এ সময় আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আদালতে বিস্ফোরক আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয়। পুলিশের ওপর হামলার মামলাটি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।