বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবাসীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসি

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৮:০৩

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।’

কুমিল্লার হোমনায় প্রেমের জেরে সৌদি আরব প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

রায় ঘোষণাকালে অব্যাহতি পাওয়া আসামি মো. শাহজাহান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কারারকান্দি গ্রামের ৩২ বছর বয়সী মো. কুদ্দুস মিয়া, একই উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মাইক্রোবাসচালক ২৮ বছর বয়সী আব্দুল খালেক, কারারকান্দি গ্রামের ২৬ বছর বয়সী মো. রাজিব এবং নিহতের স্ত্রী মোছা. শাহনেওয়াজ বেগম।

এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন হোমনা উপজেলার গোয়ারী ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে হোমনা কাঁচাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ৪২ বছর বয়সী মো. শাহজাহান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি মো. শাহজাহানের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে ঢাকায় চিকিৎসার করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। ২০১৩ সালের ৯ জুন হতে ১০ জুনের মধ্যে হোমনা উপজেলার বাহেরখোলা গ্রামের কেরার মাজার সংলগ্ন স্থানে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের ছোটভাই মো. তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল আল বাকী তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি কুদ্দুছ, আব্দুল খালেক, রাজিব ও মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজকে গ্রেপ্তার করে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরবর্তীতে রাজিব, শাহনেওয়াজ ও খালেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেয় আদালত।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।’

আসামি পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

এ বিভাগের আরো খবর